
বিশেষ প্রতিনিধি: সবুজে শ্যামলে ঘেরা নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবাধে কেটে উজাড় করা হচ্ছে পাহাড়ি বনায়ন। এবং সেই সাথে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেয়া বিভিন্ন লতা গুল্ম শ্রেনীর উদ্ভিদ। এতে একদিকে যেমন পাহাড়গুলো তার সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে তেমনি অন্যদিকে ব্যাপকহারে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এর পাদদেশে বসবাসকারী গারো উপজাতিদের জীবিকা ও জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের পথ ও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দুর্গাপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকায় ১১৬০ নং সীমান্ত পিলারের নো ম্যানস ল্যান্ড সংলগ্ন পাহাড় গুলোতে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান বেশ কিছুদিন যাবৎ একের পর এক পাহাড়ের গাছ বনবিভাগ নিলামে বিক্রি করে দিচ্ছে। শত শত অপপ্রাপ্ত বয়স্ক আকাশ মনি(আকাশী)গাছের কাটা টুকরো জড়ো করে রাখা থাকতে দেখা যায়। কাঠুরেদের একজন জানান,” ধোবাউড়া থানার আব্দুল জব্বার এ গুলোর ক্রেতা”। যদিও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় বন বিটের কর্মকর্তাদের ও পাওয়া যায় নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এতদাঞ্চলের অধিকাংশ পাহাড় বনবিভাগ থেকে লিজ নিয়ে প্রভাবশালী মহল বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করছেন।
এ নিয়ে প্রকৃতি প্রেমীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।কবি দুনিয়া মামুন বলেন,”বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সভা সেমিনারে আলোচনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বারোপ করছেন। অথচ দেশের ভেতরে এ নিয়ে অনেকেরই মাথা ব্যাথা নেই”!
পাহাড়/নদী/বিস্তীর্ণ বালুচর অধ্যুষিত প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক পরিবেশের জন্য দুর্গাপুর বিখ্যাত। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক আসে। কিন্তু বর্তমানে যে হারে মাটি কেটে পাহাড় উজাড়, বৃক্ষক্ষ নিধন,বালু ও পাথর উত্তোলন চলছে এভাবে চলতে থাকলে পর্যটক আকর্ষনের আর কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা বলে জানান সচেতন মহল।