
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা হোছাইনিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো: হাবিবুর রহমান খানকে অনিয়ম, দুর্নীতি,অর্থ আত্বসাৎ, মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীর সাথে অসদাচরণ, অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক অমান্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ গত ৭ জানুয়ারির সভায় তাকে সাময়িক বহিস্কার করেছে।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, মো: হাবিবুর রহমান খান পূর্বধলা হোছাইনিয়া ফাযিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষায় ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতেন। শিক্ষক -কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ ছিল তার নিত্য দিনের ঘটনা। মাদরাসার উন্নয়নে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের ২লক্ষ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নিজের ইচ্ছামত মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ইতোমধ্যে নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্ত রিপোর্টে অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।
গভর্নিং বডির সভাপতি জরুরি সভার আহ্বান করলে সেই সভায় অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান কোন কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত থেকেছেন।
মাদ্রাসার অফিস সহকারী আশরাফুজ্জান আকন্দ জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। নিয়ম বর্হিভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ, জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ সহ যেসব অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাতে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পূর্বধলা হোছাইনিয়া ফাযিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল জানান, গভর্নিং বডির সভার সিদ্দান্ত মতে, কারণ দর্শানোর নোটিশ করলে তিনি কোন জবাব দেননি। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ হিসাবে অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান খানকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।