দুর্গাপুরে রিক্সাচালক তারা মিয়ার বেদে বহরে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ

স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে করোনাকালীন সময়ে রিক্সা চালক তারা মিয়া বিরিশিরি এলাকায় সোমেশ^রী সেতুর নীচে বেদে সম্প্রদায়ের বহরে থাকা পনেরোটি পরিবারকে নিজের রিক্সা চালানোর আয়ে উর্পাজিত অর্থে পাঁচ কেজি করে চাল এবং নগদ একশো করে টাকা বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তারা মিয়া বেদে বহরে উপস্থিত হয়ে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করেন।
বেদে সম্প্রদায়ের বহরে বাস করা মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফা মোঃ শরিফ, মজিবুর. শাহ আলম ও নয়ন মিয়া বলেন, “করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমাদের আয় রোজগার নেই। আমরা যাযাবর। মানুষের ধারে ধারে গিয়ে সেবা দিয়ে আমরা সংসার চালাই। কিন্তু এখন কোথাও যেতে পারি না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে খুব সমস্যায় থাকি। আমাদেরকে কেউ সাহায্য করে না। একজন রিক্সা চালক পাঁচ কেজি চাল, একশো করে টাকা দিয়ে গেছেন। এটা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া।”
দুর্গাপুরের জলসিঁড়ি পাঠকেন্দ্রের পরিচালক দীপক সরকার বলেন, তারা মিয়া আমাদের সমাজের দৃষ্টান্ত। যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে, তারা দিতে পানেন না। আর সে রিক্সা চালিয়ে অর্ধেক টাকা জমিয়ে তা গরীব মানুষের মাঝে বিলায়। তার কাছ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।
রিক্সা চালক তারা মিয়া বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত রিকশা চালানোর উপার্জন থেকে প্রতি মাসেই অর্ধেক টাকা গরীব অসহায় মানুষের জন্য রেখে দিই। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বই খাতা বিতরণ করি। আমার নিজের কষ্ট হলেও খুব ভালো লাগে এই কাজে। করোনা পরিস্থিতিতে তিনি সমাজের সকলকে গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
চলতি মাসের ১১ অক্টোবর দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চকলেংগুরা বাইতুল কোরাআন ইসলামিয়া মাদাসার শিক্ষীর্থীদের ৪২টি কোরাআন শরীফ দান করেন তারা মিয়া।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।