নাটোরে হয়ে গেল ভাববৈঠকি বাউল গান

নাজমুল হাসান, নাটোর: নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ভাববৈঠকি বাউল গান। পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে ব্যক্তি উদ্যোগে সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার রাতব্যাপী এই বাউল গান অনুষ্ঠিত হয়। বাউল সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে আর নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য প্রতিবছর এই গানের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত দর্শক শ্রোতাদের বাউল গানে মাতিয়ে রাখেন বাউল শিল্পীরা। শুরুতেই বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে দেশীয় গানের সুরের ঝংকার তুলে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বাদকরা। এরপর ঢাকার ধামরাই, টাঙ্গাইল থেকে আসা বাউলসহ স্থানীয় বাউলরা একে একে গান পরিবেশন করেন। প্রতিবছর নিজ উদ্যেগে এই বাউল মেলার আয়োজন করেন স্থানীয় বাউল ভক্ত জমির উদ্দিন। এবারে ২৬তম এই আসরে পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে ডাঙ্গাপাড়াসহ আশপাশের গ্রাম থেকে আসা কয়েকহাজার বাউল ভক্তদের পদচারনায় এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। গানে গানে বাউল শিল্পী আর শ্রেতারা নিজেদের আত্মতৃপ্তি আর আত্মশুদ্ধির চেষ্টা চালায়। উৎসব মুখর পরিবেশে বাড়ির প্রাঙ্গণে, খোলা আকাশের নীচে সামিয়ানার নিচে চলে বাউল গান।
বাউল গান শুনতে আসা মহসীন আলী জানান, রাতব্যাপী বাউল গান শোনা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বহুদিন পর বাউল গান শুনতে এসে খুবই ভাললাগছে।
টাঙ্গাইলের বাউল শিল্পী শরীয়ত সরকার জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতিবর্ণ ভেদাভেদ দূর করতে এই ধরনের বাউল গানের প্রয়োজন।
ভাববৈঠকি বাউল গানের আয়োজক জমির আলী জানান, দেশীয় সাংস্কৃতির লালন, চর্চা ও বিকাশের লক্ষে প্রতিবছর নিজ উদ্যেগে এই গানের আয়োজন করা হয়। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নিজেদের গানের মধ্যে আত্মনিয়োগ করেন বাউল শিল্পী আর ভক্তরা। হারিয়ে যাওয়া বাংলার আবহমান বাউল সংঙ্গীতকে সংরক্ষণ এবং দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার সরকারি পৃষ্টপোষকতার দাবী জানান তিনি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।