
এস,এম, সারোয়ার খোকন,মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি: শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে বিশ্ব উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬তলা আধুনিক ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া নেত্রকোনায় শিক্ষা প্রাতষ্টান সংস্কারের জন্য চলতি অর্থবছরে ১৩৫ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আধুনিক যোগোপযোগী বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি শুক্রবার মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্টানে এসব কথা বলেন। এ উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গনসহ সারা শহর সাজ সাজ রব। সকাল ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ৩টি পর্বে পুনর্মিলনীর দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি।
বিশাল আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্টানের কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে পুনর্মিলনী কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটি ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ (অতিরিক্ত সচিব) সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কথা সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা পর্বে পুনর্মিলনী উদযাপন মোহনগঞ্জ স্থানীয় কমিটির আহবায়ক ও মোহনগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুল মতিন প্রাক্তন অধ্যাপক, ড. রশিদ চেয়ার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুনর্মিলনী কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটি ও প্রধান মন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ (অতিরিক্ত সচিব) সাজ্জাদুল হাসান, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. সফর আলী আকন্দ।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন ঢাকা ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ কাজী মোজাম্মেল হক, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. সদরুল আমিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ কেরোলিনার এলিজাবেথ সিটি স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও উপাচার্যের উপদেষ্টা ড. আলী আতহার খান, রাজধানীর সিটি ইউনিভার্সিটির ডীন ও অধ্যাপক ড. মিহির কুমার রায়, জাতিসংঘের পলিটিক্যাল এফেয়ার্স অফিসার মোশতাক আহমেদসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য সচিব পুনর্মিলনী কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটি।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন,ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুসফিকুর রহমান,পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন,উপজেলা চেয়ারম্যান আকম শফিকুল হক, যুগ্ন আহবায়ক, মোঃ শহীদ ইকবাল, কামাল পাশা চৌধুরী,প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ইউএনও মোঃ মেহেদী মাহমুদ আকন্দ প্রমুখ।
সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে দেশবরেণ্য কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়সমিন, প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী, চ্যানেল আই সেরা কন্ঠশিল্পী ঝিলিক ও আশিকসহ স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
১৯৮১ সালের ১লা জানুয়ারী বিদ্যালয়টিকে সরকারী করা হয়। ১৯৯২ সালে স্কুলে ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে স্থান করে নেয় হিরক জয়ন্তী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জিল্লুর রহমান ।