মদনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২

স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোনার মদনে বিয়ের প্রলোভন দিখিয়ে এক গৃহপরিচারিকাকে (১৮) ধষর্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মদন পৌর শহরে জাহাঙ্গীরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছে মো. ফজলুল হক (৪০) ও একদিল মিয়া (৪২)। তারা উভয়েই শহরের জাহাঙ্গীরপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাড়ি একই জেলার খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের একটি গ্রামে। তিনি মদন পৌরসভার একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাসায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন। সম্প্রতি ওই এলাকার মো. ফজলুল হক ও একদিল মিয়া নামের দুই ব্যক্তি মেয়েটির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। সপ্তাহ খানেক আগে মেয়েটির বিয়ের জন্য একজন পাত্র ঠিক করেছেন ওই দুই ব্যক্তি মেয়েটিকে জানান। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মেয়েটিকে বিয়ের পাত্র দেখাবেন বলে কাউন্সিলরের বাসা থেকে তাকে একটি নির্জন স্থানে ডেকে নেন। পরে ওই দুইজন তাকে আটকিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারীরা দৌড়াতে শুরু করে। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এ দিকে ওই গৃহপরিচারিকাকে খোঁজাখোঁজির পর বাসায় না পেয়ে কাউন্সিলর মুঠোফোনে বিষয়টি মদন থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে ফজলুল ও একদিলের নামে শুক্রবার দুপুরে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ আটক দুইজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানান, ফজলুল হক ও একদিল মিয়া আমাকে বিয়ের পাত্র দেখানোর কথা বলে মালিকের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জোড় করে অন্ধকার একটি জায়গায় ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই দুই ব্যক্তি পুলিশের হেফাজতে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।