মোঃ আনোয়ার হোসেন শরীফ, গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শনিবার আবারও শাহগঞ্জ বাজারে ৫টি পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। পেট্রোল বোমা হামলায় ধান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৪২) ও মতি মিয়া (২৮) দগ্ধ হন। এ ঘটনায় আরো ১০/১২জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে গত ৩০ নভেম্বর/১৭ যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউএনও’র বাসভবনসহ ৫টি স্থানে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
গৌরীপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দা মাকনূন হৃদি জানান, মতি মিয়ার শরীরের ২০শতাংশ পুড়ে গেছে, তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আর রফিকুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে।
গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহ জালাল জানান, শাহগঞ্জ বাজারে ৫টি পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। একটি রিক্সা পুড়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম অন্তর পেট্রোল বোমা হামলার খবর জানিয়েছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম অন্তরের ওপর হামলা করেছে বলে জানা গেছে। চেয়ারম্যান জানিয়েছে, ওরা মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠান উদযাপন করতে দেয়নি। তবে হামলার প্রকৃত কারণ এখনও উদঘাটন সম্ভব হয়নি।
পেট্টোল বোমায় দগ্ধ অচিন্তপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল রশিদের পুত্র মো. মতি মিয়া (২৮) জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহগঞ্জ বাজারে অবস্থিত অচিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছাদ থেকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে। আমি অটোরিস্কায় ছিলাম। হঠাৎ করেই আমার পুরো রিক্সাটি পুড়ে যায় ও আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী তার চাচাতো ভাই খোরশেদ আলম জানান, পুরো শরীরে আগুন নিয়ে দৌড়ে আমার দোকানে উঠে। অপর দগ্ধ খালিজুড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র ধান ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম (৪২) জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিভাবে শরীরে আগুন ধরে গেলো বুঝতে পারি নাই।
ঘটনার পরপরই শাহগঞ্জ বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।