
নিতাই সাহা : নয় বছরের শিশু শোভন সাহা। সে দূরারোগ্য জেনেটিক রোগে আক্রান্ত। তার পিতা শ্যামল সাহা আজ নিঃস্ব হয়ে বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ করে টাকা তুলে ইজি বাইক চালিয়ে কোন রকম সংসার চালায়। শোভনের মা একজন গৃহিনী। তাদের তিন বছরের একজন কন্যাও রয়েছে। নিজের বাড়ী ভিটা নেই। শোভনের পিতা শ্যামল সাহা দুর্গাপুর পৌর শহরের সাধুপাড়ায় একজন ব্যবসায়ীর বাড়ীতে বিনা ভাড়ায় অবস্থান করছেন।
শোভন জয়নাল জোবায়দা মডেল স্কুলের ২য় শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র।
তার জন্ম ২০০৯ সালেন ২১ ফেব্রুয়ারী। গত ২৮মার্চ ২০১৩ ইং তারিখে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা সহ বিভিন্ন ইলেকট্রন্ক্সি এন্ড প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর একটি ফুটফুটে শিশুর চিকিৎসা সহযোহিতা দিতে শোভন এর পিতা শ্যামল সাহার এই মোবাইল নাম্বারে ০১৭২৪২৭৭৮৩৩ যোগাযোগ করে শ্যামল সাহা, সোনালী ব্যাংক, দুর্গাপুর শাখা, নেত্রকোনা। সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১০০০০৫৪৪৩। ৩০.১২.২০১৩ ইং থেকে ১৯.০৩.২০১৫ ইং পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গার সহৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছ খেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকার সহযোগিতা পাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নজরুল ইসলাম, ইবনে সিনা হাসপাতালের ডাঃ জাকির হোসেন গালিব, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ভারতের এপেলো, গোহাটির মেডিক্যাল কলেজ, ভেলুরের খ্রীস্টান মেডিক্যাল কলেজ, এপেলো চাইল্ড হসপিটাল চেন্নাইয়ের কাঞ্চিকামাকুতি চাইল্ড ট্রাস্ট, শ্রী রামচন্দ্র মেডিক্যাল, রামদেবজী আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতাল উত্তর খন্ড, দিল্লী মেডিক্যাল কলেজ, চিকিৎসাকালীন কিছুটা সুস্থ থাকলেও এখন এই নিঃস্ব পিতার কিছুই করার নেই। তবে ভারতের চেন্নাই হাসপাতালেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাধারাজ গোপাল তার রোগ নির্নয় করার পর , কাঞ্চিকামাকুতি চাইল্ড ট্রাস্ট হসপিটাল ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল সেন্টার থেকে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর জেনেটিক কনসালটেন্ট ডাঃ কল্পনা গৌরী শংকর কর্তৃক শোভনের জেনেটিক রোগ সনাক্ত হয়। তার একমাত্র চিকিৎসা আমেরিকাতেই সম্ভব বলে চিকিৎসকদের বক্তব্যে। প্রতিবেদককে জানান তার পিতা শ্যামল সাহা।
অসহায় পিতা মাতার আকুতি মেধাবী অটিজম শিশুর জীবন বাঁচাতে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কণ্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জাতিসংঘ ঘোষিত ‘অটিজম’ নিয়ে ব্যাপক কাজ করার স্বীকৃতি রয়েছে। মানবিক কারনে যদি এই মেধাবী ছেলেটির চিকিৎসার দায়িত্ব ভার গ্রহন করতেন । তাহলে হয়তো এই মেধাবী ছেলেটি বেঁচে যেত।
শোভন সাহার বর্তমান শারীরিক অবস্থা দুইহাত নাড়াচরা করতে পারে না,গলার সামনে এবং শরীরে বিভিন্ন জায়গা ফুলে শক্ত হয়ে গেছে। সম্প্রতি ডান পা ফুলে শক্ত হয়ে গেছে। স্কুলে নিয়ে আসা যাওয়ার জন্য পিতা মাতাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করতে হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেটির জীবন বাঁচাতে সমাজের সহ্নদয় বিত্তবান সহ অটিজম ডিপার্টমেন্টের দৃষ্টি কামনা করেছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্রই পরিবারের কাছে সংরক্ষিত আছে।