নেত্রকোনা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনা মুক্ত দিবসে বিজয় র‌্যালীতে অংশ গ্রহণকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা শহরের মুক্তারপাড়ায় পাবলিক হলের সামনে থেকে র‌্যালী শুরু হলে র‌্যালীতে অংশ গ্রহণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হলে র‌্যালীটি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খানের জয়ের নেতৃত্বে একটি র‌্যালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিন নেত্রকোনা শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের চর্তুমুখী আক্রমনের মুখে হানাদার বাহিনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাবার পথে মোক্তারপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন কৃষি ফার্মের কোনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদারদের মরণপন লড়াই হয়। এ সন্মুখ সমরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার (আবু খাঁ), মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার শহীদ হন। আহত হন কমান্ডার আবু সিদ্দিক আহমেদ। অবশেষে লড়াই ছেড়ে পাক হানাদার বাহিনী ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যায়। নেত্রকোনা শহর হয় পাক হানাদার মুক্ত। মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে শহরে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলার সবুজ জমিনে লাল সূর্য খচিত পতাকা উত্তোলন করে নেত্রকোনা শহরকে মুক্ত ঘোষনা করে বিজয় উল্লাস করে। শত শত মুক্তিকামী জনতা রাস্তায় নেমে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন জানান।
নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে প্রজন্ম শপথ ও সাতপাই মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালী ও আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
র‌্যালী শেষে পাবলিক হল মিলনাতয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছ। জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খানের জয় এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুজ্জোহা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা প্রশান্ত কুমার রায়, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, পৌরমেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আবু আক্কাছ, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নূরুল আমীন খান, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার প্রমুখ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।