ত্রিশালের সামানিয়াপাড়া সড়কের বেহালদশা: জনদুর্ভোগ চরমে

ত্রিশাল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধানীখোলা ইউনিয়নের শতশত মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ দর্গারচক মোড় হতে সামানিয়াপাড়া সড়কের বেহালদশা। দুই কিলোমিটারের কর্দমাক্ত ওই কাঁচা সড়কে ছোটবড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
সামানিয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী ও কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনের চলাচলের একমাত্র পথ ওই সড়কটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের সংযোগস্থল থেকে ওই সড়কের দুই কিলোমিটার জুড়ে অনেকগুলো খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে ওই সড়কে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচর অযোগ্য হয়ে পড়ে। ওই সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরা নজরুল ডিগ্রী কলেজ, ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রী কলেজ, ইসলামী একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ, উজানপাড়া এতিমখানা আলিম মাদ্রাসা, উজানপাড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও দর্গারচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। প্রায় মাস খানেক আগে বৃষ্টি হলেও রাস্তার কয়েকাংশে এখনো পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে আছে। রাস্তা এছাড়া কৃষিপন্য বাজারজাত করা ও সাধারন মানুষের চলাচলসহ জনদুর্ভোগ চরমে পৌছলেও দেখার যেন কেউ নেই।
এছাড়া সামানিয়াপাড়া সড়কের খাঁনবাড়ী সংযোগ সড়কটিতে মাটি ভরাট না করার কারনে ৩শ পরিবারের শিশু-কিশোর, মধ্য ও বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান ওইসব এলাকার সাধারন মানুষ।
প্রতিদিন ওই দুইসড়কে চলাচলকারী সীমা, দেলোয়ার, হেরা, পাপিয়া, আনিস ও নিপাসহ শিক্ষার্থীরা জানান, রাস্তা সংস্কার না হওয়ার ফলে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়েই আমাদেরকে চলাচল করতে হয়। বর্ষাকালে স্কুল কলেজে যেতে পারিনা।
আশরাফ উদ্দিন খাঁন, তোতা সরকার, রাশেদ আকন্দসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, ভাঙ্গা এ সড়কে রিকসা, ভ্যান ও ট্রলিসহ কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় কৃষিপন্য ক্রয় বা বাজারজাত করা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ী দোলোয়ার হোসেন খাঁ, উজ্জল ফকির ও রোকন মিয়া জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও কৃষিপন্য সরবরাহ চরম ক্ষতির মুখে পড়বে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।